রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার দিনেই রাজশাহী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ডেকেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র ‘কাঁচি’ প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী কামাল।

বুধবার বিকেল ৩টায় রাজশাহীর বানেশ্বর মাঠে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভাষণ দেবেন। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ওই একই দিন ও একই সময়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের কর্মসূচি ডাকেন।

সোমবার মহানগর আওয়ামী লীগের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার্তা পাঠিয়ে এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানান মোহাম্মদ আলী কামাল। সেখানে বুধবার দুপুর তিনটায় মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে মহানগরীর সব ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুল ওয়াদুদ জানান, রাজশাহীর ৬টি নির্বাচনী আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। এই কর্মসূচি আগে থেকেই নির্ধারণ করা আছে এবং দলের প্রতিটি ইউনিটের নেতাদের অবগত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার একই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এক সংশোধিত বার্তায় মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ‘শফিকুর রহমান বাদশা-এঁর পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান অনুষ্ঠান আগামী ০৩ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামের পরিরর্তে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ২টায় রাজপাড়া ও শাহ মখদুম থানার সকল ওয়ার্ড সমূহের ও বেলা ৩টায় বোয়ালিয়া (পূর্ব ও পশ্চিম) এবং মতিহার থানার সকল ওয়ার্ড সমূহের পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। পোলিং এজেন্টদের উক্ত প্রশিক্ষণে যথাসময়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দকে অনুরোধ জানানো হলো।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘আমি তো নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করছি না। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক। সেক্ষেত্রে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী জনসভা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।’

তবে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতির এই অবস্থানের উল্টো অবস্থান নিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রীর জনসভার চেয়ে আমাদের কাছে বড় কিছু আর থাকতে পারে না। নৌকা প্রতীকের বাইরে আমাদের কিছু ভাবার সুযোগ নেই। আমি মনে করি, যারা এসব করছে তারা দলবিরোধী কাজ করছে। দলের মধ্যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সুদূরপ্রসারী বিভাজন তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত কতিপয় ব্যক্তির ইন্ধনে কিছু নেতাকর্মী বিভ্রান্ত হচ্ছেন। শুধু নির্বাচন নয়, আগামীতে তাদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে বলেই আমার মনে হয়।’